১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২, শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মহান রবিউল আউয়াল মাস উদযাপনে, ‘‘আর্দশ রাষ্ট্রনায়ক মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শীর্ষক’’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দলের ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান, নায়েবে আমীর মাওলানা কাজী আব্দুল মজিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর আমীর অধ্যক্ষ এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন, খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আজম খান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মহানগর নেতা মাওলানা আবু তাহের, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। পরিচালনা করেন নগর সেক্রেটারি মাওলানা ফিরোজ আশরাফী ও মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন।
![]() |
খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত আর্দশ রাষ্ট্রনায়ক মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ |
প্রধান অতিথি আরো বলেন, কাংখিত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে ইনসাফবাদী নেক নেতৃত্ব ও আল্লাহর আইন ভিত্তিক রাসুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শের আলোকে খেলাফত পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। তিনি দেশের চলমান খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, রাজনৈতিক অনৈক্য জনিত গোলযোগ-অরাজক পরিস্থিতিতে গভীর আশংকা ব্যক্ত করে বলেন দেশবাসী অবিলম্বে তওবা পূর্বক বিজাতীয় রাজনীতি ও ব্যর্থ নারী নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ না করলে অচিরেই বাংলাদেশ ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ার পরিণতিতে উপনীত হবে।
মাওলানা মোহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান বলেন, ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার তন্ত্র তথা মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এর বাইরে যত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার মত তন্ত্র, মন্ত্র আছে তা হচ্ছে শয়তানের যন্ত্র। আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের সবাই প্রায় মুসলমান। অথচ তারা কেউ ইসলামকে গ্রহণ না করে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করার স্বার্থে সংবিধান হতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে যাবতীয় কার্যের ভিত্তি কথাকে ক্ষমতার জোরে মুছে দিয়েছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, মহানবী (সাঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা হলে শুধুমাত্র মুসলিম দেশসমূহেই নয় সমগ্র বিশ্বেই হানাহানি, বৈষম্য এর অবসান হবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় মুসলিম দেশসমূহে কোথাও এ বিষয়ে মনোযোগ নাই।
সভাপতির লিখিত প্রবন্ধে মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ইসলাম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ছিলেন সারা পৃথিবীর জন্য সর্ব যুগের সকল ক্ষেত্রে সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি হচ্ছেন মহান চরিত্রের অধিকারী ও মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, মুক্তির দিশারী এবং বিশ্বের সর্বপ্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের সুমহান স্থপতি।
অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, দেশের জনগণ বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত। নিরাপত্তার প্রশ্ন আজ অস্তিত্বহীন। পত্রিকায় আসছে দিনে রাজনৈতিক-রাতে ডিবি অর্থাৎ ছিনতাইকারী, অপহরণকারী। তাদের প্রকৃত পরিচয় তারা সরকারী দলের দায়িত্বশীল। রক্ষক এখন ভক্ষক হয়ে পড়েছে।