Thursday, February 20, 2014

কুরআন-হাদীসের বাণী প্রচারে মাতৃভাষার বিকল্প নেই : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মাতৃভাষা আল্লাহ তা’আলার বড় দান। মানুষ মাতৃভাষার মাধ্যমে সুখ-দু:খ ও মনের ভাব প্রকাশ করতে যে আনন্দ পায় অন্য কোন ভাষার দ্বারা তা পায় না। জ্ঞানার্জনের প্রধান মাধ্যম মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় মুর্খ হয়ে বেঁচে থাকার কোন স্বার্থকতা নেই। কুরআন-হাদীসের বাণী জনসম্মুখে সহজভাবে প্রচার করতে মাতৃভাষার বিকল্প নেই।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল


তিনি বলেন, “একটি বেদনাদায়ক সংগ্রাম করে ৪ টি তাজা প্রাণ দিয়ে এবং বহু ত্যাগের মাধ্যমে বাংলা ভাষা আজ রাষ্ট্র ভাষা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বাংলা ভাষ। বাংলা ভাষার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে আদালতসহ রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে বাংলা ভাষার প্রচলণ কার্যকর করতে হবে। ২১ ফেব্রুয়ারীর পরিবর্তে ৯ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এবং বিদেশী ভাষার সব সাইনবোর্ড ভেঙে দিতে হবে।”

আজ বৃহস্পতিবার খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে নবাবপুরস্থ দলের মহানগর মিলানায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর উপদেষ্টা আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী, ইসলামি বুদ্ধিজীবি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও খেলাফত উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়র আব্দুল হান্নান আল হাদী, আলহাজ মুহাম্মদ আজম খান, মহানগর সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, এ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ লিটন চৌধুরী, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, হাফেজ ইবরাহিম বিন আলী মাওলানা জাফর আহমাদ ও মুফতী জয়নাল আবেদন প্রমূখ।

আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, “ভাষা দিবসসের পুষ্পস্তবক অর্পনে কোন ফায়দা নেই। এতে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা সবাই মুসলমান। শহীদের মর্যাদা অতি উঁচু। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য ইসলামী আদর্শ ও মুসলিম সাংস্কৃতিতে করতে হবে।”

মোহাম্মদ আজম খান বলেন, “ভাংলাভাষা ও দেশের স্বকীয়থা বুঝাতে ভাষা দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো বাংলা মাসের তারিখে পালন করতে হবে। সরকারী ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম যে গুলো ইংরেজী অথবা অর্ধেক বাংলা ও অর্ধেক ইংরেজী সেই গুলো বর্জন করতে হবে। জনগণ এখন বাংলাকে বিশ্ব ভাষা হিসেবে দেখতে চায়।”

ইঞ্জিনিয়র হাদী বলেন, “বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে আজ আমাদের দেশেই অবহেলিত এবং ভিনদেশী ভাষার জয় জয়কার চলছে। বর্তমানে যারা বাংলা ভাষার রক্ষক বলে দাবি করে তারাও অফিসে নিজ স্বাক্ষর গুলো পর্যন্ত ইংরেজীতে দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। বিদেশী ভাষা আগ্রাসনের কবল থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”