Tuesday, November 25, 2014

আইওয়াশ নয়, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মৃত্যুদণ্ড চাই: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও সরকার তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার না করে বরং পুলিশ পাহারা দিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পৌছে দিয়েছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় মূলত জনগণকে আইওয়াশ করার জন্যেই সরকার তাকে মন্ত্রীসভা ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আত্মসমর্পণ না করলে সরকার তাকে গ্রেফতার করত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এরকম নাটক তৌহিদি জনতা আর দেখতে চায় না।


আজ মঙ্গলবার খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, মুফতী মামুনুর রশিদ প্রমুখ।

মাওলানা হামিদী বলেন, বারবার এদেশে গুটিকয়েক ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ইসলাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা) এবং ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে কটাক্ষ ও ধৃষ্টতাপূর্ণ কথাবার্তা বলে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেকে তাহাজ্জুদগুজার দাবি করা সত্ত্বেও এসব ধর্মদ্রোহীদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ্য করলে তড়িতগতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন হ্চ্ছে। তবে কি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের চাইতে প্রধানমন্ত্রী বেশি সম্মানিত? তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনেই এসব ধর্মদ্রোহিদের বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাশ করতে হবে এবং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এর বিকল্প কোন কিছুই তৌহিদি জনতা মেনে নিবে না।

Wednesday, November 12, 2014

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের আরও বেপরোয়া হতে উৎসাহী করবে -খেলাফত আন্দোলন

খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেছেন, ঘুষ একটি মহাপাপ। ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়ে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। অতএব অর্থমন্ত্রী ‘ঘুষ অবৈধ নয়’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সরাসরি হারাম হালাল বলার নামান্তর। আর যে ব্যক্তি হারামকে হালাল বলে তার ঈমান থাকে না। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের থেকে এমন বক্তব্য আসাটাই স্বাভাবিক, কারণ তারা জনগণের দুর্ভোগ অনুধাবন করার মতো নয়। বক্তারা অর্থমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের এবং ঈমান নবায়নের পরামর্শ দেন। 

গত বুধবার বিকেলে ‘ঘুষ অবৈধ নয়’ মর্মে প্রদত্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজধানীর লালবাগে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আব্দুল মালেক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আজম খান, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, মুফতি জসিমুদ্দীন, আলী মাকসোদ খান মামুন প্রমুখ। 


অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-এর বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর রাজধানীতে মিছিল বের করে 

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ঘুষ একটি জঘন্য অপরাধ এবং দুর্নীতি ও লুটপাটের দুষ্টচক্রের মূল অনুঘটক। এর ব্যাপকতার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশে হাজারো মানুষ সরকারি অফিসগুলোতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঘুষ না দিতে পারার কারণে যোগ্য ও মেধাবী কিন্তু গরিব প্রার্থীরা সরকারি চাকুরিতে সুযোগ পাচ্ছেন না; তদস্থলে অযোগ্য ও দলীয় লোকদের বিশাল অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আর এই নিয়োগপ্রাপ্তরা তাদের প্রদেয় এই বিশাল অংকের ঘুষের টাকা উসূল করতে সওয়ার হচ্ছে জনগণের ওপর। আমরা অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের সংবিধানেও ঘুষ নিষিদ্ধ। অতএব সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অপরাধে তাকে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যে বর্তমান সরকার ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী একথা পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জনগণকে এসব রাষ্ট্র ও ধর্মবিরোধী কার্যক্রম রুখে দাঁড়ানোর আহাবান জানান।