বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ইসলামী রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা' শীর্ষক আলোচনা সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, ইনসাফবাদ হচ্ছে ইসলামের চেতনা। জাতীয় মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহর হক ও আল্লাহর বান্দা জনগণের হক আদায়ের সংগ্রামের নামই হচ্ছে ইসলামী রাজনীতি। যে দেশে অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু মুসলিম, সে দেশে ইসলামী রাজনীতি ছাড়া মাটি ও মানুষের কোন রাজনীতি নেই। ইসলাম ও রাজনীতি এক ও অভিন্ন। রাজনীতি থেকে ইসলামকে পৃথক করে দেখার কোন সুযোগ নেই। অপরাধী যারা তারাই ইসলামী আন্দোলনে ভীত। ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করে ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।
২৬ আগস্ট, ২০১০ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ইম্পেরিয়াল হোটেলের কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ। বক্তব্য রাখেন পিডিপির চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আহমাদ কোরেশী, জাতীয় পার্টি জেপির অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ, আলহাজ্ব আনিসুর রহমান জিন্নাহ, ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মোহাম্মদ আজম খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা ফিরোজ আশরাফী।
প্রধান অতিথির ভাষণে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ ইসলাম ও প্রচলিত গণতন্ত্রের সামঞ্জস্য ও অসামঞ্জস্যতা বর্ণনা করে বলেছেন গণতন্ত্রকে যদি জনগণের শাসক নির্বাচনের জন্য একটি সহজ পদ্ধতির জনকল্যাণের বাহন হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হবে একটি নেয়ামত স্বরূপ। আর যদি তা মানবীয় বা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের দাবিতে আল্লাহ পাকের বিধানের বিরুদ্ধে মনগড়া তন্ত্র-মন্ত্র জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে তা হবে গণতন্ত্রের নামে গণদেবতা নমরুদ ফেরাউন এর স্বৈরতন্ত্রের শামিল। ইতিহাস সাক্ষী মজবুত রাজতন্ত্র ও নিরংকুশ জন সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সেই রাজত্ব টিকে থাকতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না, তা যেন সরকারের করুণার ওপর নির্ভরশীল। সরকারের ধর্ম নিরপেক্ষতার স্বার্থ যেন ধর্মের চাইতে ধর্মহীনতার ওপর বেশি নির্ভরশীল। তাই সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস শব্দকে উৎখাত করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এটা হবে সরকারের আত্মহত্যার সামিল।
বক্তারা বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নামাজ-রোজার পাশাপাশি ইসলামের নিজস্ব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক আইন ও বিধি-বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। হযরত মহানবী (সা:) নিজে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান হিসেবে মসজিদে নববী থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। ইসলামী রাজনীতি করা মুসসলমানদের নাগরিক, মৌলিক ও ধর্মীয় অধিকার। কুরআনের কিছু অংশ মেনে বাকি অংশ বাদ দেয়ার অধিকার কারো নেই।
No comments:
Post a Comment