Wednesday, July 23, 2014

ইসরাঈলসহ বিশ্বব্যাপী অত্যাচারী বর্বর শক্তিগুলোকে রুখে দাড়াতে হবে : মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর ইহুদীবাদী ইসরাঈলের পক্ষকালব্যাপী বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মানবতার বিষফোঁড়া ইসরাঈল ফিলিস্তিনের গাজায় ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’ নামে নিরীহ নারী, পুরুষ ও অবুঝ শিশু হত্যার যে পৈশাচিক তান্ডবলীলায় মেতে উঠেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা অভিধানে নেই। মানবতার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই যাদের এমন মানবরুপী হায়েনাদের পক্ষেই কেবল এহেন ধ্বংসলীলায় মেতে উঠা সম্ভব।

গাজায় ইসরাঈলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী


বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগ্রাসী ইসরাঈলী হায়েনাদের স্থল ও আকাশপথের হামলায় ইতোমধ্যে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন। প্রকাশ্যে হামাস নিধনের কথা বললেও ইসরাঈলীদের হামলা থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাসহ বেসামরিক কোন লোকেরাই রেহাই পাচ্ছে না। হামলা হচ্ছে মসজিদ এমনকি হাসপাতালের উপরও। ফলে গাজায় তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।সমুদ্রের তীরে খেলাধুলায় মত্ত অবুঝ চারটি শিশুকে ইসরাঈলী কাপুরুষরা যেভাবে হত্যা করেছে তা বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে থাকবে বহুদিন। সারাবিশ্বের সচেতন মানুষরা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরেও ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা এতে মোটেই কর্ণপাত করেনি। জাতিসংঘের ভুমিকাও রহস্যজনক। ২০১২ সালের পর থেকে চলমান যুদ্ধ-বিরতিকে ভঙ্গ করার একটা অজুহাত বের করা এবং গাজায় গণহত্যা চালানোকে বৈধ প্রতীয়মান করার জন্য ইসরাঈলই তাদের তিনটি শিশুকে অপহরণ ও হত্যার নাটক সাজিয়েছে। এরপরও যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদীদেরকে জড়ো করে এনে ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ রাষ্ট্র থেকে বাস্তুহারা করে ইসরাঈল নামক জারজ রাষ্ট্রটির জন্মদাতা পশ্চিমা শক্তিগুলো বলে, ইসরাঈলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তখন তা শতাব্দীর সেরা কৌতুক হিসেবে পরিগণিত হয়। হামাসকে রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্যে সংস্থাটির সেবাদাসবৃত্তিক মনোভাব আবারো উন্মোচিত হয়েছে।

মাওলানা হামিদী আরো বলেন, গাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের আর্তনাদ এবং বিশ্বব্যাপী অব্যাহত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের বিন্দুমাত্র তোয়াক্বা ও কর্ণপাত না করলেও যখনি মুক্তিকামী হামাসের প্রতিরোধের ফলে বেশকিছু সংখ্যক ইসরাঈলী সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসরাঈল নিজেদের বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছে তখনই মেকি যুদ্ধ-বিরতির জন্য ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা মায়াকান্না শুরু করেছে। এর দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয়,ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী মজলুম উম্মাহর মুক্তির জন্য আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদের কোন বিকল্প নেই। মাওলানা হামিদী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাঈলী আগ্রাসনের ব্যাপারে ওআইসি ও আরব বিশ্বসহ মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পশ্চিমা মদদপুষ্ট আগ্রাসী ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে নিজ নিজ রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও একসময় থাকবে না। তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে ইসরাঈলসহ আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহবান জানান।


নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন
 ইসলামিক নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন 
ইনসাফ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন
 ফেসবুক পোস্ট

No comments:

Post a Comment