Friday, December 26, 2014

দাওয়াতি মাস উপলক্ষ্যে নির্দেশনা

আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের আওতাধীন সকল সাথীরা হয়তো ইতোমধ্যে শুনে থাকবেন যে, আজ ০৩ রবিউল আউয়াল, শুক্রবার লালবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগরের থানাসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পবিত্র রবিউল আউয়াল ১৪৩৬ হিজরি মাসকে দাওয়াতি মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে বেশি থেকে বেশি দাওয়াতি ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-পেশা-বয়স-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের কাছে খেলাফত ভিত্তিকরাষ্ট্রব্যবস্থার দাওয়াত পৌঁছে দেয়া ও নতুন সদস্য তৈরি করাই এ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য। ঘোষণাপূর্বক মহানগরের আওতাধীন সকল থানার সাথীদেরকে প্রদত্ত নির্দেশানবলী নিম্নরুপ:
. নিজ নিজ এলাকায় বেশি থেকে বেশি জনসাধারণকে খেলাফতের দাওয়াত প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ খেলাফত ভিত্তিক রাষ্টব্যবস্থা কি ও কেন এর গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনাপূর্বক সবাইকে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক করার চেষ্টা ও ফিকির করতে হবে।
. ম্যান টু ম্যান এবং সাধারণ এ উভয় পদ্ধতিতেই মানুষের কাছে দাওয়াত পৌছাতে হবে। প্রত্যেক সক্রিয় সাথী প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা সময় দাওয়াতি কাজে ব্যয় করতে হবে। এর উপরে সময়সীমার ব্যাপারে যার যার সামর্থ অনুযায়ী সময় দিবেন।
. সাধারণভাবে সকলের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও জনসমাগমের স্থানসমূহে দাওয়াতি মাসের আহবান সংবলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন ইত্যাদি উপায় কাজে লাগাতে হবে।
. মসজিদে মসজিদে দাওয়াতি মাসের আহবান সংবলিত লিফলেট বিতরণ; জায়গায় জায়গায়, গণপরিবহনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে স্টিকার লাগাতে হবে।
৫. ফেসবুক, ব্লগসহ ইন্টারনেটের সম্ভাব্য সকল সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিউজসমূহের পাঠকের মন্তব্য অংশটাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কোন ক্ষেত্রেই যেন অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছু না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬. প্রত্যেক থানায় সদস্য ফরম পৌঁছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। যাদের সদস্য ফরম মওজুদ আছে তারা এখন থেকেই নতুন সদস্যদের ফরম পূরণ করানো শুরু করে দেবেন। বাকিরা দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাবেন এবং সদস্য ফরম হাতে পাওয়া মাত্র ফরম পূরণ করানো শুরু করে দেবেন।
৭. ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রত্যেক থানাকে প্রদত্ত নতুন সদস্য তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। সর্বোপরি আল্লাহ তা’আলার কাছে যাবতীয় কার্যক্রমের সফলতার জন্য কায়মনোবাক্যে দুআ ও কান্নাকাটির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কাজ করার তাওফিক দান করুন।

No comments:

Post a Comment