বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে হজ্ব, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাবলীগ জামাতকে নিয়ে জঘন্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটুক্তিকারী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তিদানের সরকারি প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তিদানের এই প্রচেষ্টা নাস্তিক্যবাদকে উৎসাহিত করা এবং নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে জনগণের আবেগ-অনুভুতি নিয়ে ঘৃণ্য সরকারি তামাশার নামান্তর বৈ আর কিছু নয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশবাসী ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আবেদন জানিয়ে কারা কতৃপক্ষকে পাঠানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির প্রেক্ষিতে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ‘উপরের গ্রীন সিগন্যাল’ -এর!
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করলে জেল-জরিমানা হয়ে যায় অথচ মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বহাল রাখা এবং তাকে প্যারোলে মুক্তিদানের প্রচেষ্টা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, তাকে মন্ত্রীত্ব ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছিল নিছক আইওয়াশ।
মাওলানা হামিদী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সরকার যদি তা না করে উল্টো তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয় তবে জনমানুষের ক্ষোভ এবং খোদায়ী গজব থেকে বর্তমান সরকার কোনক্রমেই রেহাই পাবে না। অতএব দেশবাসী আশা করে, সরকার তাকে মুক্তি না দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাকরত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে।
No comments:
Post a Comment