বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেছেন, শহীদদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষা বাংলা। অথচ রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে আমরা ভিনদেশি ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে রেখেছি। এটা ভাষা শহীদদের প্রতি এক ধরনের উপহাস। তাই রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আজম খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহকারি দফতর সম্পাদক মাওলানা শরীফ হায়দার, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, সহকারি প্রচার সম্পাদক মুফতী মামুনুর রশিদ সহ নেতাকর্মীবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হামিদী বলেন, এদেশে আপামর জনসাধারণ তাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল ১৯৫২ সালে। অবশেষে রক্তের বিনিময়ে আদায় করেছিল তাদের অধিকার। আজ দেশে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার নেই। কারো প্রাণ ঝরে যাচ্ছে পেট্রোল বোমায় কারো বা তথাকথিত বন্ধুকযুদ্ধে। জনমনে বিরাজ করছে চরম আতংক। এ অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপামর জনসাধারণকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা শেষে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়।
Saturday, February 21, 2015
Saturday, February 14, 2015
দেশ ও জনগণের স্বার্থে আলোচনায় বসতে বাধা কোথায় : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে নিজেরাই আলোচনা-সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি দলের নেতৃবৃন্দ সংলাপ হবে না বলে সংকটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছেন এবং বহির্বিশ্বকে নিজেদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের পথ তৈরি করে দিচ্ছেন যা হবে জাতির জন্য লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যাকারীদের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন তাহলে চলমান সংকট নিরসনে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসতে অসুবিধা কোথায়?
১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের কার্যনির্বাহি পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো: শাহজাহান মিয়া, মুফতী মামুনুর রশিদ, সালাহউদ্দীন আহমাদ, গোলাম মোস্তফাসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ।
সভায় মহানগরের সাংগঠনিক কার্যক্রমসংশ্লিষ্ট আলোচ্যসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনা ও মতামত গ্রহণপূর্বক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের কার্যনির্বাহি পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো: শাহজাহান মিয়া, মুফতী মামুনুর রশিদ, সালাহউদ্দীন আহমাদ, গোলাম মোস্তফাসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ।
সভায় মহানগরের সাংগঠনিক কার্যক্রমসংশ্লিষ্ট আলোচ্যসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনা ও মতামত গ্রহণপূর্বক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
Friday, February 13, 2015
পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যা আর বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড সমান অপরাধ : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, এক দলের যে কোন মূল্যে গদি ধরে রাখা আর আরেক দলের গদি দখলের লড়াইয়ে দেশ আজ জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর নাকের ডগায় সন্ত্রাসীরা পেট্রোল বোমা মেরে কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণ। আর অপরদিকে অপরাধ যাচাই-বাছাই, যথানিয়মে আদালতে হাজির ইত্যাদি আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে ঘর থেকে উঠিয়ে এনে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দিচ্ছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনগণ তাই আতংকে দিশেহারা। কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা, খিলাফতভিত্তিক শাসনব্যবস্থার অভাবেই আজ দেশের এই দুরবস্থা।
আজ শুক্রবার সকাল ৭ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন লালবাগ থানা কতৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। লালবাগ থানা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবু বকরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুফতী নাঈম হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহফুজুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ধ্বজাধারীরা নিজেরাই গণতন্ত্রের মূলনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিগত বছরের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন নামক এক প্রহসনের মাধ্যমে জাতিকে ঠেলে দিয়েছে গভীর এক সংকটের দিকে। ১৫৩ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের কোন মতামত ছাড়াই। বাকিরা নির্বাচিত হয়েছেন মোট ভোটারের মধ্যে মাত্র ৫% ভোটের মাধ্যমে। অর্থাৎ, শতকরা পঁচানব্বই ভাগ ভোটারের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। এ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারকে কিভাবে গণতন্ত্রের মূলনীতি অনুযায়ী ‘জনগণের দ্বারা’ নির্বাচিত দাবি করা হয়?
আজ শুক্রবার সকাল ৭ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন লালবাগ থানা কতৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। লালবাগ থানা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবু বকরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, হাফেজ মাওলানা মুফতী নাঈম হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহফুজুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ধ্বজাধারীরা নিজেরাই গণতন্ত্রের মূলনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিগত বছরের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন নামক এক প্রহসনের মাধ্যমে জাতিকে ঠেলে দিয়েছে গভীর এক সংকটের দিকে। ১৫৩ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের কোন মতামত ছাড়াই। বাকিরা নির্বাচিত হয়েছেন মোট ভোটারের মধ্যে মাত্র ৫% ভোটের মাধ্যমে। অর্থাৎ, শতকরা পঁচানব্বই ভাগ ভোটারের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। এ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারকে কিভাবে গণতন্ত্রের মূলনীতি অনুযায়ী ‘জনগণের দ্বারা’ নির্বাচিত দাবি করা হয়?
Friday, January 16, 2015
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত নাস্তিক্যবাদকে উৎসাহিত করার নামান্তর | মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে হজ্ব, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাবলীগ জামাতকে নিয়ে জঘন্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটুক্তিকারী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তিদানের সরকারি প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্যারোলে মুক্তিদানের এই প্রচেষ্টা নাস্তিক্যবাদকে উৎসাহিত করা এবং নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে জনগণের আবেগ-অনুভুতি নিয়ে ঘৃণ্য সরকারি তামাশার নামান্তর বৈ আর কিছু নয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশবাসী ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আবেদন জানিয়ে কারা কতৃপক্ষকে পাঠানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির প্রেক্ষিতে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ‘উপরের গ্রীন সিগন্যাল’ -এর!
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করলে জেল-জরিমানা হয়ে যায় অথচ মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বহাল রাখা এবং তাকে প্যারোলে মুক্তিদানের প্রচেষ্টা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, তাকে মন্ত্রীত্ব ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছিল নিছক আইওয়াশ।
মাওলানা হামিদী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সরকার যদি তা না করে উল্টো তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয় তবে জনমানুষের ক্ষোভ এবং খোদায়ী গজব থেকে বর্তমান সরকার কোনক্রমেই রেহাই পাবে না। অতএব দেশবাসী আশা করে, সরকার তাকে মুক্তি না দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাকরত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশবাসী ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, সংসদ অধিবেশনে যোগদানের আবেদন জানিয়ে কারা কতৃপক্ষকে পাঠানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির প্রেক্ষিতে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ‘উপরের গ্রীন সিগন্যাল’ -এর!
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করলে জেল-জরিমানা হয়ে যায় অথচ মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বহাল রাখা এবং তাকে প্যারোলে মুক্তিদানের প্রচেষ্টা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, তাকে মন্ত্রীত্ব ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ছিল নিছক আইওয়াশ।
মাওলানা হামিদী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সরকার যদি তা না করে উল্টো তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয় তবে জনমানুষের ক্ষোভ এবং খোদায়ী গজব থেকে বর্তমান সরকার কোনক্রমেই রেহাই পাবে না। অতএব দেশবাসী আশা করে, সরকার তাকে মুক্তি না দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাকরত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)