বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরের সকল অধিবাসীদেরকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নতুন বছরের আগমন উদযাপনের নামে সব ধরনের অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, মাদকতা পরিত্যাগ করতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইংরেজি ২০১৪ সন বিদায়ের পথে। ২০১৫ সন সমাগত। আমাদের আয়ুষ্কাল থেকে হারিয়ে গেছে আরও একটি বছর। নতুন বছরের আগমনমুহুর্তে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। আমাদের জীবন থেকে গত হয়ে যাওয়া বছরটিতে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে আমাদের কার্যক্রমের হিসাবনিকাশ করে নতুন বছরে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে মেধা, সময় ও শ্রম ব্যয় করার উদাত্ত আহবান জানাই। নতুন বছরের আগমন উদযাপনের নামে তথাকথিত ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ সহ ইসলামী ও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী সব ধরনের কার্যকলাপ বর্জনের উদাত্ত আহবান জানাই।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ ও বাংলাদেশীদের কোনো সংস্কৃতি নয়, এটি পাশ্চাত্যের অশ্লিল সংস্কৃতি। এ অপসংস্কৃতি চর্চায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমাদের যুবক-যুবতীরা এ রাতে ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও ক্লাবে মদ, ইয়াবা ও নেশাদ্রব্যসহ অশ্লীল কাজকর্মে লিপ্ত থাকে। ফলে যুবসমাজ মদ ও অশ্লিলতার অন্ধকার পথে অগ্রসর হচ্ছে, যা দেশের জন্য শংকার বিষয়। গত বছর ডিএমপি বাইরে জমায়েত হওয়াকে নিষিদ্ধ করলেও হোটেল বা বারগুলোর মাদক ও অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করেনি যার ফলে থামেনি অশ্লীলতা ও মাদকতা। মাওলানা হামিদী সরকারের কাছে দেশ, জাতি ও ইসলামের সাথে সঙ্গতিহীন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করার দাবী জানান।
Monday, December 29, 2014
Friday, December 26, 2014
দাওয়াতি মাস উপলক্ষ্যে নির্দেশনা
আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের আওতাধীন সকল সাথীরা হয়তো ইতোমধ্যে শুনে থাকবেন যে, আজ ০৩ রবিউল আউয়াল, শুক্রবার লালবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগরের থানাসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী পবিত্র রবিউল আউয়াল ১৪৩৬ হিজরি মাসকে দাওয়াতি মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই মাসে বেশি থেকে বেশি দাওয়াতি ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-পেশা-বয়স-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের কাছে খেলাফত ভিত্তিকরাষ্ট্রব্যবস্থার দাওয়াত পৌঁছে দেয়া ও নতুন সদস্য তৈরি করাই এ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য। ঘোষণাপূর্বক মহানগরের আওতাধীন সকল থানার সাথীদেরকে প্রদত্ত নির্দেশানবলী নিম্নরুপ:
১. নিজ নিজ এলাকায় বেশি থেকে বেশি জনসাধারণকে খেলাফতের দাওয়াত প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ খেলাফত ভিত্তিক রাষ্টব্যবস্থা কি ও কেন এর গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনাপূর্বক সবাইকে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক করার চেষ্টা ও ফিকির করতে হবে।
২. ম্যান টু ম্যান এবং সাধারণ এ উভয় পদ্ধতিতেই মানুষের কাছে দাওয়াত পৌছাতে হবে। প্রত্যেক সক্রিয় সাথী প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা সময় দাওয়াতি কাজে ব্যয় করতে হবে। এর উপরে সময়সীমার ব্যাপারে যার যার সামর্থ অনুযায়ী সময় দিবেন।
৩. সাধারণভাবে সকলের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও জনসমাগমের স্থানসমূহে দাওয়াতি মাসের আহবান সংবলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন ইত্যাদি উপায় কাজে লাগাতে হবে।
৪. মসজিদে মসজিদে দাওয়াতি মাসের আহবান সংবলিত লিফলেট বিতরণ; জায়গায় জায়গায়, গণপরিবহনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে স্টিকার লাগাতে হবে।
৫. ফেসবুক, ব্লগসহ ইন্টারনেটের সম্ভাব্য সকল সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিউজসমূহের পাঠকের মন্তব্য অংশটাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কোন ক্ষেত্রেই যেন অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছু না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬. প্রত্যেক থানায় সদস্য ফরম পৌঁছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। যাদের সদস্য ফরম মওজুদ আছে তারা এখন থেকেই নতুন সদস্যদের ফরম পূরণ করানো শুরু করে দেবেন। বাকিরা দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাবেন এবং সদস্য ফরম হাতে পাওয়া মাত্র ফরম পূরণ করানো শুরু করে দেবেন।
৭. ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রত্যেক থানাকে প্রদত্ত নতুন সদস্য তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। সর্বোপরি আল্লাহ তা’আলার কাছে যাবতীয় কার্যক্রমের সফলতার জন্য কায়মনোবাক্যে দুআ ও কান্নাকাটির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে কাজ করার তাওফিক দান করুন।
খেলাফত ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার অভাবেই মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন একটি আদর্শ সংগঠন। নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আপোষহীন ও অগ্রণী ভুমিকা নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. মৃত্যুর পূর্বমুহুর্তে বলেছেন, আমার এই আন্দোলনের সৈনিকরা ইনশাআল্লাহ একসময় ইমাম মাহদীর কাফেলার সাথে শরীক হবে। তাই বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে দিনে ঘোড়সওয়ার বীর যোদ্ধা আর রাতে ইবাদতগুজার এই বৈশিষ্ঠ্যসম্পন্ন হতে হবে। তবেই আসবে কাংখিত সাফল্য তথা আল্লাহর জমীনে আল্লাহর খেলাফত।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের অধীন থানাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মামুনুর রশিদ, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসাইন, যাত্রাবাড়ী থানা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, লালবাগ থানা প্রতিনিধি হাফেজ রুহুল আমীন, মতিঝিল থানা প্রতিনিধি মো: হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন থানা থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হামিদী বলেন, খেলাফত ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার অভাবেই আজ সমাজের সর্বস্তরে অস্থিরতা, সুদ, ঘুষ দুর্নীতির সয়লাব বয়ে যাচ্ছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান চর্চা করতে পারছে না। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীদের মতো একের পর এক নাস্তিক তৈরি হচ্ছে আর ইসলামের বিরুদ্ধে জঘন্য থেকে জঘন্যতর বক্তব্য দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। যতদিন না খেলাফত ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এদের খপ্পর থেকে ইসলাম ও মুসলমান নিরাপদ নয়। দেশে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয় তা বন্ধ করলে ৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন উন্নত করা সম্ভব যে, যাকাত দেয়ার মতো লোক খুজে পাওয়া যাবে না। তিনি থানা প্রতিনিধিদের প্রতি উদাত্ত আহবান রেখে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মু’মিন ও সৎকর্মশীল বান্দাদের জমীনের খেলাফত প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন। কাজেই মজবুত ঈমান ও ভাল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে দৃঢ় সম্পর্ক কায়েম করত মানুষের দ্বারে দ্বারে খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি রবিউল আউয়াল মাসকে ঢাকা মহানগর খেলাফত আন্দোলনের জন্য দাওয়াতি মাস হিসেবে ঘোষণা করেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন থানার কার্যক্রমের রিপোর্ট নেয়া হয় এবং আগামী দিনের কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। দাওয়াতি মাসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সবাইকে এসব কার্যক্রম সফল করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের অধীন থানাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মামুনুর রশিদ, হাফেজ মাওলানা নাঈম হোসাইন, যাত্রাবাড়ী থানা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান, লালবাগ থানা প্রতিনিধি হাফেজ রুহুল আমীন, মতিঝিল থানা প্রতিনিধি মো: হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন থানা থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হামিদী বলেন, খেলাফত ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার অভাবেই আজ সমাজের সর্বস্তরে অস্থিরতা, সুদ, ঘুষ দুর্নীতির সয়লাব বয়ে যাচ্ছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান চর্চা করতে পারছে না। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীদের মতো একের পর এক নাস্তিক তৈরি হচ্ছে আর ইসলামের বিরুদ্ধে জঘন্য থেকে জঘন্যতর বক্তব্য দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। যতদিন না খেলাফত ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এদের খপ্পর থেকে ইসলাম ও মুসলমান নিরাপদ নয়। দেশে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয় তা বন্ধ করলে ৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন উন্নত করা সম্ভব যে, যাকাত দেয়ার মতো লোক খুজে পাওয়া যাবে না। তিনি থানা প্রতিনিধিদের প্রতি উদাত্ত আহবান রেখে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মু’মিন ও সৎকর্মশীল বান্দাদের জমীনের খেলাফত প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন। কাজেই মজবুত ঈমান ও ভাল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে দৃঢ় সম্পর্ক কায়েম করত মানুষের দ্বারে দ্বারে খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি রবিউল আউয়াল মাসকে ঢাকা মহানগর খেলাফত আন্দোলনের জন্য দাওয়াতি মাস হিসেবে ঘোষণা করেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন থানার কার্যক্রমের রিপোর্ট নেয়া হয় এবং আগামী দিনের কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। দাওয়াতি মাসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সবাইকে এসব কার্যক্রম সফল করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
Tuesday, November 25, 2014
আইওয়াশ নয়, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মৃত্যুদণ্ড চাই: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও সরকার তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার না করে বরং পুলিশ পাহারা দিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পৌছে দিয়েছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় মূলত জনগণকে আইওয়াশ করার জন্যেই সরকার তাকে মন্ত্রীসভা ও আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আত্মসমর্পণ না করলে সরকার তাকে গ্রেফতার করত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এরকম নাটক তৌহিদি জনতা আর দেখতে চায় না।
আজ মঙ্গলবার খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসেন, মুফতী মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
মাওলানা হামিদী বলেন, বারবার এদেশে গুটিকয়েক ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ইসলাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা) এবং ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে কটাক্ষ ও ধৃষ্টতাপূর্ণ কথাবার্তা বলে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেকে তাহাজ্জুদগুজার দাবি করা সত্ত্বেও এসব ধর্মদ্রোহীদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ্য করলে তড়িতগতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন হ্চ্ছে। তবে কি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের চাইতে প্রধানমন্ত্রী বেশি সম্মানিত? তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনেই এসব ধর্মদ্রোহিদের বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাশ করতে হবে এবং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এর বিকল্প কোন কিছুই তৌহিদি জনতা মেনে নিবে না।
Wednesday, November 12, 2014
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের আরও বেপরোয়া হতে উৎসাহী করবে -খেলাফত আন্দোলন
খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেছেন, ঘুষ একটি মহাপাপ। ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়ে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। অতএব অর্থমন্ত্রী ‘ঘুষ অবৈধ নয়’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সরাসরি হারাম হালাল বলার নামান্তর। আর যে ব্যক্তি হারামকে হালাল বলে তার ঈমান থাকে না। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের থেকে এমন বক্তব্য আসাটাই স্বাভাবিক, কারণ তারা জনগণের দুর্ভোগ অনুধাবন করার মতো নয়। বক্তারা অর্থমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের এবং ঈমান নবায়নের পরামর্শ দেন।
গত বুধবার বিকেলে ‘ঘুষ অবৈধ নয়’ মর্মে প্রদত্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজধানীর লালবাগে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আব্দুল মালেক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আজম খান, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, মুফতি জসিমুদ্দীন, আলী মাকসোদ খান মামুন প্রমুখ।
গত বুধবার বিকেলে ‘ঘুষ অবৈধ নয়’ মর্মে প্রদত্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজধানীর লালবাগে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আব্দুল মালেক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আজম খান, মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী, মুফতি জসিমুদ্দীন, আলী মাকসোদ খান মামুন প্রমুখ।
![]() |
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-এর বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর রাজধানীতে মিছিল বের করে |
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ঘুষ একটি জঘন্য অপরাধ এবং দুর্নীতি ও লুটপাটের দুষ্টচক্রের মূল অনুঘটক। এর ব্যাপকতার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশে হাজারো মানুষ সরকারি অফিসগুলোতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঘুষ না দিতে পারার কারণে যোগ্য ও মেধাবী কিন্তু গরিব প্রার্থীরা সরকারি চাকুরিতে সুযোগ পাচ্ছেন না; তদস্থলে অযোগ্য ও দলীয় লোকদের বিশাল অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আর এই নিয়োগপ্রাপ্তরা তাদের প্রদেয় এই বিশাল অংকের ঘুষের টাকা উসূল করতে সওয়ার হচ্ছে জনগণের ওপর। আমরা অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের সংবিধানেও ঘুষ নিষিদ্ধ। অতএব সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অপরাধে তাকে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বক্তব্যে বর্তমান সরকার ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী একথা পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জনগণকে এসব রাষ্ট্র ও ধর্মবিরোধী কার্যক্রম রুখে দাঁড়ানোর আহাবান জানান।
Monday, October 20, 2014
খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সাক্ষাতকার
মুরতাদ, নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আওয়ামী সরকার জনগণকে আইওয়াশ করার চেষ্টা করছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যপারেও সরকার চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে দেশ লতিফ ইস্যুতে ফুসে উঠেছে। লতিফ সিদ্দিকীকে যদি আইনের আওতায় আনা না হয় তাহলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে। তাকে নিয়ে সরকারের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। নাস্তিক লতিফকে নিয়ে সরকার যে নাটক সাজিয়েছে তা এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ কখনই মেনে নেবে না। বিডি নিউজ টাইম ডটকম-কে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এ সব কথা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী
সাক্ষাৎকারটির সারসংক্ষেপ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
প্রশ্ন : খেলাফত আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলুন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : হযরত মাওঃ মুহাম্মদুল্লাহ হাফিজ্জী হুজুর (রহঃ) এর প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলন বাংলার জমিনে ইসলাম ও ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সংগঠন দেশের প্রতিটি মানুষের
দ্বারে দ্বীন ধর্ম ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে এই খেলাফত আন্দোলন বলিষ্ঠ ও যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। আশা করি ইনশা-আল্লাহ একদিন বাংলার জমিনে ইসলাম
কায়েম হবে।
প্রশ্ন : বর্তমানে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আপনাদের কোনো কর্মসূচী আছে কি?
মুজিবুর রহমান হামিদী : সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন। শুধু লতিফ সিদ্দিকী নয়, যারা ধর্মের উপর, দ্বীনের উপর আক্রমন করে, দ্বীন ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে সর্ব প্রথমই বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। আপনারা জানেন সেই শাহবাগে নাস্তিক ব্লগাররা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে যখন কটুক্তি করে তখন সর্বপ্রথম এই খেলাফত আন্দোলনই ঢাকাতে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ করে। যার ফলে সারাদেশে এক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচীর ব্যাপারে ভাবছি। শীঘ্রই কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে বায়তুল মোকারমের সামনে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ সহ আমরা নানা কর্মসূচী পালন করেছি।
প্রশ্ন : সমমনা কিছু ইসলামিক দলের ২৬ অক্টোবরের হরতাল সম্পর্কে কিছু বলেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : আমরা সহ সমমনা কিছু ইসলামিক দল আগামী ২৬ অক্টোবর দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচী দিয়েছি। এই হরতাল কর্মসূচী সফল করে তোলার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানায়।
প্রশ্ন : হরতাল সহ এ সব নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা সম্ভব বলে কি মনে করেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : মুরতাদ, নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আওয়ামী সরকার জনগণকে আইওয়াশ করার চেষ্টা করছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সরকার চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা বলিষ্ঠকণ্ঠে বলতে চাই, লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে নাটক করা বাদ দিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর সেই শাস্তি হবে ফাঁসি। তা না হলে সরকারকে এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে। প্রশ্ন : বিএনপি সহ অনেকেই বলছে বর্তমান সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ও অবৈধ সরকার। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কী?
মুজিবুর রহমান হামিদী : এ সরকারের ক্ষেত্রে সব কয়টি কথাই প্রয়োজ্য। একটা কথা বলি- যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। যেমন একটি ঘটনা বলি, একবার ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিজনক/অসম্মানজনক স্টাটাস দেওয়ায় তাকে তখন ৭ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। তো যদি দেশের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুটুক্তি করার কারণে ৭ বছরের জেল হতে পারে, তাহলে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কট্টাক্ত করবে তাদের শুধু দল থেকে বহিষ্কার করবে এটা দেশবাসী কখনই মেনে নিতে পারে না। আপনারা জানেন যে, এ সরকারের আমলেই যারা ইসলাম ও মহানবীকে অবমাননা করেছে এমন ১০০জন বক্তির তালিকা নিয়ে খেলাফত আন্দোলন কিছুদিন আগে একটা পুস্তিকা বের করেছে। এ সরকার আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসকে সংবিধান থেকে তুলে দিয়ে নাস্তিকদের উস্কে দিয়েছেন।
প্রশ্ন : দ্বীনি দাওয়াত প্রচার প্রসারে বর্তমানে দেশে কেমন সময় বিরাজ করছে বলে মনে করেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : শতকরা ৯০/৯২জন মুসলমানের দেশে আমরা বসবাস করি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এ দেশে অন্য ধর্মের লোকেরা যেভাবে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম কর্মের কাজ করতে পারে আমরা সেভাবে পারি না। গত সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিকে পড়লাম, এখন অনেক মুসলমানরা ধর্মকর্ম পালন করে কিন্তু লেবাস মানে না। তার কারণ হচ্ছে, যদি কেউ কারও মাথায় টুপি, মুখে দাঁড়ি বা পায়জামা পাঞ্জাবী দেখে তাহলে তাকে জঙ্গি বলে আটকায়। এবং পরবর্তীকালে এক সময়ে তাদেরকে মিডিয়ার সামনে জোরপূর্বক জঙ্গি বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এ দেশে ইসলাম প্রচার প্রসারে অনেক বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনার যদি কোনো অব্যক্ত কথা থাকে তবে বলুন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : আমি এদেশের মিডিয়া সমাজকে বলতে চাই, আপনারা সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করুন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিন।
প্রশ্ন : আপনার মূলবান সময় নষ্ট করে দীর্ঘক্ষণ আমাদেরকে সময় দেওয়া জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুজিবুর রহমান হামিদী : আপনাদেরও ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফিজ।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী
সাক্ষাৎকারটির সারসংক্ষেপ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
প্রশ্ন : খেলাফত আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলুন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : হযরত মাওঃ মুহাম্মদুল্লাহ হাফিজ্জী হুজুর (রহঃ) এর প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলন বাংলার জমিনে ইসলাম ও ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সংগঠন দেশের প্রতিটি মানুষের
দ্বারে দ্বীন ধর্ম ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে এই খেলাফত আন্দোলন বলিষ্ঠ ও যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। আশা করি ইনশা-আল্লাহ একদিন বাংলার জমিনে ইসলাম
কায়েম হবে।
প্রশ্ন : বর্তমানে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আপনাদের কোনো কর্মসূচী আছে কি?
মুজিবুর রহমান হামিদী : সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন। শুধু লতিফ সিদ্দিকী নয়, যারা ধর্মের উপর, দ্বীনের উপর আক্রমন করে, দ্বীন ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে সর্ব প্রথমই বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। আপনারা জানেন সেই শাহবাগে নাস্তিক ব্লগাররা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে যখন কটুক্তি করে তখন সর্বপ্রথম এই খেলাফত আন্দোলনই ঢাকাতে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ করে। যার ফলে সারাদেশে এক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচীর ব্যাপারে ভাবছি। শীঘ্রই কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে বায়তুল মোকারমের সামনে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ সহ আমরা নানা কর্মসূচী পালন করেছি।
প্রশ্ন : সমমনা কিছু ইসলামিক দলের ২৬ অক্টোবরের হরতাল সম্পর্কে কিছু বলেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : আমরা সহ সমমনা কিছু ইসলামিক দল আগামী ২৬ অক্টোবর দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচী দিয়েছি। এই হরতাল কর্মসূচী সফল করে তোলার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানায়।
প্রশ্ন : হরতাল সহ এ সব নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা সম্ভব বলে কি মনে করেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : মুরতাদ, নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে আওয়ামী সরকার জনগণকে আইওয়াশ করার চেষ্টা করছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সরকার চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা বলিষ্ঠকণ্ঠে বলতে চাই, লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে নাটক করা বাদ দিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর সেই শাস্তি হবে ফাঁসি। তা না হলে সরকারকে এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে। প্রশ্ন : বিএনপি সহ অনেকেই বলছে বর্তমান সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ও অবৈধ সরকার। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কী?
মুজিবুর রহমান হামিদী : এ সরকারের ক্ষেত্রে সব কয়টি কথাই প্রয়োজ্য। একটা কথা বলি- যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। যেমন একটি ঘটনা বলি, একবার ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিজনক/অসম্মানজনক স্টাটাস দেওয়ায় তাকে তখন ৭ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। তো যদি দেশের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুটুক্তি করার কারণে ৭ বছরের জেল হতে পারে, তাহলে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কট্টাক্ত করবে তাদের শুধু দল থেকে বহিষ্কার করবে এটা দেশবাসী কখনই মেনে নিতে পারে না। আপনারা জানেন যে, এ সরকারের আমলেই যারা ইসলাম ও মহানবীকে অবমাননা করেছে এমন ১০০জন বক্তির তালিকা নিয়ে খেলাফত আন্দোলন কিছুদিন আগে একটা পুস্তিকা বের করেছে। এ সরকার আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসকে সংবিধান থেকে তুলে দিয়ে নাস্তিকদের উস্কে দিয়েছেন।
প্রশ্ন : দ্বীনি দাওয়াত প্রচার প্রসারে বর্তমানে দেশে কেমন সময় বিরাজ করছে বলে মনে করেন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : শতকরা ৯০/৯২জন মুসলমানের দেশে আমরা বসবাস করি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এ দেশে অন্য ধর্মের লোকেরা যেভাবে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম কর্মের কাজ করতে পারে আমরা সেভাবে পারি না। গত সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিকে পড়লাম, এখন অনেক মুসলমানরা ধর্মকর্ম পালন করে কিন্তু লেবাস মানে না। তার কারণ হচ্ছে, যদি কেউ কারও মাথায় টুপি, মুখে দাঁড়ি বা পায়জামা পাঞ্জাবী দেখে তাহলে তাকে জঙ্গি বলে আটকায়। এবং পরবর্তীকালে এক সময়ে তাদেরকে মিডিয়ার সামনে জোরপূর্বক জঙ্গি বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এ দেশে ইসলাম প্রচার প্রসারে অনেক বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনার যদি কোনো অব্যক্ত কথা থাকে তবে বলুন?
মুজিবুর রহমান হামিদী : আমি এদেশের মিডিয়া সমাজকে বলতে চাই, আপনারা সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করুন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিন।
প্রশ্ন : আপনার মূলবান সময় নষ্ট করে দীর্ঘক্ষণ আমাদেরকে সময় দেওয়া জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুজিবুর রহমান হামিদী : আপনাদেরও ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফিজ।
সাক্ষাতকারটি ২০ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে ইসলামিক নিউজ টুয়েন্টিফোরে প্রকাশিত হয়েছে। মূল লেখাটি এখান থেকে পড়তে পারেন।
Friday, October 3, 2014
আব্দুল লতিফের বক্তব্য ক্ষমার অযোগ্য : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বের নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এবং ইসলাম অন্যতম স্তম্ভ ফরয ইবাদত পবিত্র হজ সম্পর্কে আ: লতিফ সিদ্দিকী (কাজ্জাবী) যে জঘন্য দৃষ্টতাপূর্ণ কটূক্তি করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। তার এ বক্তব্য শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। মহানবী সা. ও হজ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে আ: লতিফকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা না হলে নবী প্রেমিক ইসলামী জনতার আন্দোলনের দাবানল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। তখন তার পৃষ্টপোষকরাও রেহাই পাবে না।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আলহাজ্জ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মহানগর সেক্রেটারী হাফেজ মাও. আবু তাহের, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, কেন্দ্রীয় নেতা, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজম খান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী মামুনুর রশিদ, আলহাজ্জ আলী মাকসুদ খান মামুন ও মাওলানা সারোয়ার প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে বাইতুল মুকারমের উত্তর গেটে এসে বাদ জুম্মা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় দৈনিক বাংলা ঘুরে এসে আবার উত্তর গেটে শেষ করা হয়।
বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ সা. সর্বশ্রেষ্ট ও সর্বশেষ নবী। কোন মুসলমান মহানবী সা. কে তুচ্ছ-তাচ্ছিলের সাথে তার নাম উচ্চারণ করতে পারে না। মহানবী সা. এর নাম শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে দুরূদ পাঠ করা সব মুসলমানের কর্তব্য। মহানবী সা. কে শ্রদ্ধা করা ঈমানের অঙ্গ। মহানবী সা. সম্পর্কে কটূক্তি করলে ঈমান থাকে না। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ সম্পর্কে কটূক্তি করারও কারো ইখতিয়া নেই। জাহেল, মুরতাদ আ. লতীফের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। স্ব-ঘোষিত মুরতার আব্দুল লতিফ সালমান রুশদী, দাউদ হায়দার ও তাসলিমা নাসরিনের চেয়েও ভয়াবহ জঘন্য অপরাধী নাস্তিক।
বক্তরা বলেন, ইসলামের স্তম্ভ হজ নিয়ে ব্যঙ্গ করার দু:সাহস কোন নাস্তিক-মুরতাদও দেখায়নি, তার এ উদ্ধ্যত্বপূর্ণ বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ জনতা চুপ করে বসে থাকবে না। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টতান্তমূলক শাস্তি না দিলে জনগণ সরকারকে অচল করে দিবে।
![]() |
হজ্ব, তাবলীগ জামাত ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের মানবন্ধন |
বক্তারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ সা. সর্বশ্রেষ্ট ও সর্বশেষ নবী। কোন মুসলমান মহানবী সা. কে তুচ্ছ-তাচ্ছিলের সাথে তার নাম উচ্চারণ করতে পারে না। মহানবী সা. এর নাম শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে দুরূদ পাঠ করা সব মুসলমানের কর্তব্য। মহানবী সা. কে শ্রদ্ধা করা ঈমানের অঙ্গ। মহানবী সা. সম্পর্কে কটূক্তি করলে ঈমান থাকে না। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ সম্পর্কে কটূক্তি করারও কারো ইখতিয়া নেই। জাহেল, মুরতাদ আ. লতীফের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। স্ব-ঘোষিত মুরতার আব্দুল লতিফ সালমান রুশদী, দাউদ হায়দার ও তাসলিমা নাসরিনের চেয়েও ভয়াবহ জঘন্য অপরাধী নাস্তিক।
বক্তরা বলেন, ইসলামের স্তম্ভ হজ নিয়ে ব্যঙ্গ করার দু:সাহস কোন নাস্তিক-মুরতাদও দেখায়নি, তার এ উদ্ধ্যত্বপূর্ণ বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ জনতা চুপ করে বসে থাকবে না। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টতান্তমূলক শাস্তি না দিলে জনগণ সরকারকে অচল করে দিবে।
Friday, September 26, 2014
সরকার জনগণের অধিকার গুম করেছে : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, বর্তমান সরকারের ব্যর্থতায় দেশে আজ ঘুষ, দুর্নীতি, জোর-জুলুমের অবাধ্য রাজত্ব চলছে। মানুষের জান, মাল, ঈমানের নিরাপত্তা নেই। দেশে নতুন নামে পুরনো দিনের ব্যর্থ বাকশালী শাসন চলছে। কুখ্যাত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে সরকার একাধারে আল্লাহর হক ও আল্লাহর বান্দা জনগণের হক গুম করেছে। জনগনের ভোটারাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরাই এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে কবর দিচ্ছে।
![]() |
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী কতৃক আয়োজিত কর্মশালা |
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নবাবপুরস্থ দলের মহানগর কার্যালয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আব্দুল মালেক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব মো: আজম খান, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা হাফেজ আবু তাহের মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাষ্টার আব্দুল মান্নান ঢালী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী মামুনুর রশিদ, মুফতী নাঈম আহমাদ, আলী মাকসুদ খান মামুন ও মুফতী কামাল উদ্দিন আশরাফ প্রমূখ।
মাওলানা হামিদী বলেন, দেশবাসীর ঈমান-আমলের হেফাজত ও সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুশাসনের সুপারমডেল খোলাফায়ে রাশেদার অনুসৃত নীতিতে দেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা তথা খেলাফত পদ্ধতির সরকার কায়েমের বিকল্প নেই। আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে খেলাফত প্রাপ্তির পূর্ব শর্ত হচ্ছে, মুসলমানদের ঈমানী শক্তি অর্জন এবং আমলে সালেহ অর্থাৎ নেক আদর্শ নেতৃত্ব ও ন্যায়পরায়ণতা অর্জন করা। এ জন্যেই হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. মুসলমানদেরকে এক ও নেক হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করতেন। নেক না হয়ে শুধু এক হলে দুনিয়ায় ফেতনা বাড়বে বৈ কমবে না। মুসলমানদেরকে ভালো দিয়ে মন্দের মোকাবিলা করতে হবে। মাওলানা হামিদী বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের আইন করে সংবিধানে মৌলিক ভিত্তি বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে কেরে নেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে দেশে ইনসাফ, ন্যায় বিচার ও সুশাসন থাকবে না। সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকোচিত করেছে।
তিনি দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদককে হয়রানী বন্ধ ও বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি এবং আমার দেশ, দিগন্ত ও ইসলামী টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, যে দেশে আইন করে বিচারপতিদের স্বাধীনতা কেরে নেয়া হয়, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়, সত্য প্রকাশ করার অপরাধে সাংবাদিকদের গ্রেফতার হয়রানি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরকে কথা বলার অধিকার কেরে নেয়া হয় সে দেশে গণতন্ত্র থাকে না।
বক্তারা বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন না থাকাই সবচাইতে জুলুম। এই জুলুমের দ্বারা শুধু আল্লাহর হকেই নষ্ট হচ্ছে না, আল্লাহর বান্দা জনগণের হকও ব্যাপকভাবে নষ্ট হচ্ছে। কেননা, আল্লাহর আইনই হচ্ছে একমাত্র বৈষম্য মুক্ত, নির্ভুল ও প্রকৃত নিরপক্ষ। আল্লাহ পাকের প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনা যেমন সকলের জন্য নিরপক্ষ ও সম উপকারী তদ্রুপ আল্লাহর আইনও সকলের জন্য নিরপেক্ষ ও সম উপকারী। আল্লাহর আইন ও রাসূল সা. এর আদর্শ ভিত্তিক ইসলামী হুকুমতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, জনগণকে হাতে ধরে জান্নাতে পৌঁছে দেয়া আর মানব রচিত তন্ত্র-মন্ত্রের রাজনীতির বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষকে অধর্মে উদ্বুদ্ধ করে খুশি মনে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া।
Wednesday, July 23, 2014
ইসরাঈলসহ বিশ্বব্যাপী অত্যাচারী বর্বর শক্তিগুলোকে রুখে দাড়াতে হবে : মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে গাজায় নিরীহ মুসলমানদের উপর ইহুদীবাদী ইসরাঈলের পক্ষকালব্যাপী বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মানবতার বিষফোঁড়া ইসরাঈল ফিলিস্তিনের গাজায় ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’ নামে নিরীহ নারী, পুরুষ ও অবুঝ শিশু হত্যার যে পৈশাচিক তান্ডবলীলায় মেতে উঠেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা অভিধানে নেই। মানবতার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই যাদের এমন মানবরুপী হায়েনাদের পক্ষেই কেবল এহেন ধ্বংসলীলায় মেতে উঠা সম্ভব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগ্রাসী ইসরাঈলী হায়েনাদের স্থল ও আকাশপথের হামলায় ইতোমধ্যে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন। প্রকাশ্যে হামাস নিধনের কথা বললেও ইসরাঈলীদের হামলা থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাসহ বেসামরিক কোন লোকেরাই রেহাই পাচ্ছে না। হামলা হচ্ছে মসজিদ এমনকি হাসপাতালের উপরও। ফলে গাজায় তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।সমুদ্রের তীরে খেলাধুলায় মত্ত অবুঝ চারটি শিশুকে ইসরাঈলী কাপুরুষরা যেভাবে হত্যা করেছে তা বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে থাকবে বহুদিন। সারাবিশ্বের সচেতন মানুষরা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরেও ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা এতে মোটেই কর্ণপাত করেনি। জাতিসংঘের ভুমিকাও রহস্যজনক। ২০১২ সালের পর থেকে চলমান যুদ্ধ-বিরতিকে ভঙ্গ করার একটা অজুহাত বের করা এবং গাজায় গণহত্যা চালানোকে বৈধ প্রতীয়মান করার জন্য ইসরাঈলই তাদের তিনটি শিশুকে অপহরণ ও হত্যার নাটক সাজিয়েছে। এরপরও যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদীদেরকে জড়ো করে এনে ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ রাষ্ট্র থেকে বাস্তুহারা করে ইসরাঈল নামক জারজ রাষ্ট্রটির জন্মদাতা পশ্চিমা শক্তিগুলো বলে, ইসরাঈলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তখন তা শতাব্দীর সেরা কৌতুক হিসেবে পরিগণিত হয়। হামাসকে রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্যে সংস্থাটির সেবাদাসবৃত্তিক মনোভাব আবারো উন্মোচিত হয়েছে।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, গাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের আর্তনাদ এবং বিশ্বব্যাপী অব্যাহত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের বিন্দুমাত্র তোয়াক্বা ও কর্ণপাত না করলেও যখনি মুক্তিকামী হামাসের প্রতিরোধের ফলে বেশকিছু সংখ্যক ইসরাঈলী সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসরাঈল নিজেদের বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছে তখনই মেকি যুদ্ধ-বিরতির জন্য ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা মায়াকান্না শুরু করেছে। এর দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয়,ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী মজলুম উম্মাহর মুক্তির জন্য আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদের কোন বিকল্প নেই। মাওলানা হামিদী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাঈলী আগ্রাসনের ব্যাপারে ওআইসি ও আরব বিশ্বসহ মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পশ্চিমা মদদপুষ্ট আগ্রাসী ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে নিজ নিজ রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও একসময় থাকবে না। তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে ইসরাঈলসহ আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহবান জানান।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন
ইসলামিক নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন
ইনসাফ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন
ফেসবুক পোস্ট
![]() |
গাজায় ইসরাঈলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী |
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগ্রাসী ইসরাঈলী হায়েনাদের স্থল ও আকাশপথের হামলায় ইতোমধ্যে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন। প্রকাশ্যে হামাস নিধনের কথা বললেও ইসরাঈলীদের হামলা থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাসহ বেসামরিক কোন লোকেরাই রেহাই পাচ্ছে না। হামলা হচ্ছে মসজিদ এমনকি হাসপাতালের উপরও। ফলে গাজায় তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।সমুদ্রের তীরে খেলাধুলায় মত্ত অবুঝ চারটি শিশুকে ইসরাঈলী কাপুরুষরা যেভাবে হত্যা করেছে তা বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে থাকবে বহুদিন। সারাবিশ্বের সচেতন মানুষরা এই বর্বরতার বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরেও ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা এতে মোটেই কর্ণপাত করেনি। জাতিসংঘের ভুমিকাও রহস্যজনক। ২০১২ সালের পর থেকে চলমান যুদ্ধ-বিরতিকে ভঙ্গ করার একটা অজুহাত বের করা এবং গাজায় গণহত্যা চালানোকে বৈধ প্রতীয়মান করার জন্য ইসরাঈলই তাদের তিনটি শিশুকে অপহরণ ও হত্যার নাটক সাজিয়েছে। এরপরও যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদীদেরকে জড়ো করে এনে ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ রাষ্ট্র থেকে বাস্তুহারা করে ইসরাঈল নামক জারজ রাষ্ট্রটির জন্মদাতা পশ্চিমা শক্তিগুলো বলে, ইসরাঈলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তখন তা শতাব্দীর সেরা কৌতুক হিসেবে পরিগণিত হয়। হামাসকে রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্যে সংস্থাটির সেবাদাসবৃত্তিক মনোভাব আবারো উন্মোচিত হয়েছে।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, গাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের আর্তনাদ এবং বিশ্বব্যাপী অব্যাহত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের বিন্দুমাত্র তোয়াক্বা ও কর্ণপাত না করলেও যখনি মুক্তিকামী হামাসের প্রতিরোধের ফলে বেশকিছু সংখ্যক ইসরাঈলী সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসরাঈল নিজেদের বিপর্যয় দেখতে পাচ্ছে তখনই মেকি যুদ্ধ-বিরতির জন্য ইসরাঈল ও তার পৃষ্ঠপোষণকারীরা মায়াকান্না শুরু করেছে। এর দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয়,ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী মজলুম উম্মাহর মুক্তির জন্য আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদের কোন বিকল্প নেই। মাওলানা হামিদী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাঈলী আগ্রাসনের ব্যাপারে ওআইসি ও আরব বিশ্বসহ মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পশ্চিমা মদদপুষ্ট আগ্রাসী ইসরাঈলের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে নিজ নিজ রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও একসময় থাকবে না। তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে ইসরাঈলসহ আগ্রাসী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহবান জানান।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন
ইসলামিক নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন
ইনসাফ টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদন
ফেসবুক পোস্ট
Saturday, May 3, 2014
খেলাফত আন্দোলন ঘোষিত ৫ মে‘র পতাকা মিছিল : বিভিন্ন সংগঠনের একাত্বতা ঘোষণা
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঘোষিত ৫ই মে কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল সফল করার লক্ষ্যে আজ শনিবার বিকেলে দলের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহানগরের থানা সমুহের প্রতিনিধি, ওলামায়ে কেরাম ও সুধীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা শাপলা চত্বরের শহীদদের স্মরনে আগামী ৫মে সকাল ৯. টায় ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে কালিমা ও জাতীয় পতাকা নিয়ে শাপলা চত্বর যাওয়ার উদ্যেশ্যে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় সমবেত হওয়া জন্য ঈমানদার জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খেলাফত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। প্রধান অতিথী ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী , মাওলানা হাফেজ আবু তাহের,মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, জনাব আ: সাত্তার ,মুফতি জসিমুদ্দীন ও মাওলানা মুহাম্মাদ সারওয়ার প্রমূখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, বাংলার ধর্ম প্রাণ মানুষ নাস্তিকদের বিচার চায়। এই বিচারের দাবিতে শুধু একটি শাপলা চত্বর নয়, প্রয়োজনে শত শত শাপলা চত্বর হবে এবং হাজার হাজার মানুষ শহীদ হবে। কিন্তু আল্লাহর দুশমন নাস্তিক-মুরতাদদের ছাড় দেয়া হবে না। ৫ মে যে কোন মূল্যে আমাদের কালিমা ও জাতীয় পতাকার মিছিল সফল করা হবেই ইনশা-আল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ঈমান রক্ষায় নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি কুমিল্লার হোমনার ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন হলে এদেশে কেউ আল্লাহ ও রাসূল স. এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করার সাহস পেত না। আজ আবার নতুন করে হোমনা উপজেলায় হযরত পীরজী হুজুর রহ: প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণপুর মাদরাসাকে অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে বলেন হিন্দুদের বাড়ী-ঘর ভাংচুরে কোন মাদরাসা মসজিদ ও আলেম সমাজ জড়িত নন। অপরাধীদেরকে সনাক্ত করে বিচার করুন। গণহারে গ্রেফতার, হয়রানির পরিনাম শুভ হবেনা। পুলিশের হয়রানিতে ইতোমধ্যে ১৩টি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। শুক্রবার এলাকার ২৫/৩০টি মসজিদে জুমার নামাজ হয়নি। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
৫মে পতাকা মিছিলের সাথে বিভিন্ন সংগঠনের একাত্বতা ঘোষণা
আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ এর সাথে কামরাঙ্গীর চর মাদরাসায় সাক্ষাত করে আগামী ৫মে খেলাফত আন্দোলন ঘোষিত শাপলা চত্বরের কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল কর্মসুচির সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কর্মসুচিকে সফল করার জন্য দেশবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোট এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান , শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মাওলানা জোবায়ের আহমাদ, ইমাম ও উলামা পরিষদ এর সভাপতি মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী , খেলাফতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা লেহাজ উদ্দিন , ইন্টার ন্যাশনাল খতমে নবুওয়াত মুভমেন্ট এর নায়েবে আমীর মাওলানা আবু জাফর কাসেমী , বাতিল প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হাজি জালালুদ্দীন বকুল, নাস্তিক- মুরতাদ নির্মূল কমিটির সভাপতি মুফতি আবু রাইয়্যান কোরান প্রচার সংস্থার মহাসচিব মুফতি জসিমুদ্দীন কাসেমী, সচেতন ওলামা সমাজের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসা সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ।
এই সময় মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। ৫মের কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করবে ইনশা আল্লাহ।
![]() |
৫ই মে কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল সফল করার লক্ষ্যে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহানগরের থানা সমুহের প্রতিনিধি, ওলামায়ে কেরাম ও সুধীজনদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা |
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খেলাফত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। প্রধান অতিথী ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী , মাওলানা হাফেজ আবু তাহের,মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, জনাব আ: সাত্তার ,মুফতি জসিমুদ্দীন ও মাওলানা মুহাম্মাদ সারওয়ার প্রমূখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, বাংলার ধর্ম প্রাণ মানুষ নাস্তিকদের বিচার চায়। এই বিচারের দাবিতে শুধু একটি শাপলা চত্বর নয়, প্রয়োজনে শত শত শাপলা চত্বর হবে এবং হাজার হাজার মানুষ শহীদ হবে। কিন্তু আল্লাহর দুশমন নাস্তিক-মুরতাদদের ছাড় দেয়া হবে না। ৫ মে যে কোন মূল্যে আমাদের কালিমা ও জাতীয় পতাকার মিছিল সফল করা হবেই ইনশা-আল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ঈমান রক্ষায় নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি কুমিল্লার হোমনার ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন হলে এদেশে কেউ আল্লাহ ও রাসূল স. এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করার সাহস পেত না। আজ আবার নতুন করে হোমনা উপজেলায় হযরত পীরজী হুজুর রহ: প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণপুর মাদরাসাকে অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে বলেন হিন্দুদের বাড়ী-ঘর ভাংচুরে কোন মাদরাসা মসজিদ ও আলেম সমাজ জড়িত নন। অপরাধীদেরকে সনাক্ত করে বিচার করুন। গণহারে গ্রেফতার, হয়রানির পরিনাম শুভ হবেনা। পুলিশের হয়রানিতে ইতোমধ্যে ১৩টি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। শুক্রবার এলাকার ২৫/৩০টি মসজিদে জুমার নামাজ হয়নি। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
৫মে পতাকা মিছিলের সাথে বিভিন্ন সংগঠনের একাত্বতা ঘোষণা
আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ এর সাথে কামরাঙ্গীর চর মাদরাসায় সাক্ষাত করে আগামী ৫মে খেলাফত আন্দোলন ঘোষিত শাপলা চত্বরের কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল কর্মসুচির সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে কর্মসুচিকে সফল করার জন্য দেশবাসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোট এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান , শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মাওলানা জোবায়ের আহমাদ, ইমাম ও উলামা পরিষদ এর সভাপতি মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী , খেলাফতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা লেহাজ উদ্দিন , ইন্টার ন্যাশনাল খতমে নবুওয়াত মুভমেন্ট এর নায়েবে আমীর মাওলানা আবু জাফর কাসেমী , বাতিল প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হাজি জালালুদ্দীন বকুল, নাস্তিক- মুরতাদ নির্মূল কমিটির সভাপতি মুফতি আবু রাইয়্যান কোরান প্রচার সংস্থার মহাসচিব মুফতি জসিমুদ্দীন কাসেমী, সচেতন ওলামা সমাজের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসা সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ।
এই সময় মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। ৫মের কালিমা ও জাতীয় পতাকা মিছিল তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করবে ইনশা আল্লাহ।
Friday, April 25, 2014
পুলিশের বাধা ও গ্রেফতারে খেলাফত আন্দোলনের মানববন্ধন পন্ড
![]() |
ভারতের বিজেপি নেতার ঔদ্বত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধন পুলিশি বাধা ও গ্রেফতারে পণ্ড হওয়ার পর আয়োজিত জরুরী প্রেস ব্রিফিং |
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর মানববন্ধনে বাধা, কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতার করে কর্মসূচী করতে দেয়নি সরকারের পুলিশ বাহিনী। ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাহ্মনিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড, খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবির প্রতিবাদ. এবং তিস্তাসহ সকল নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা আদায় ও প্রতিনিয়ত সিমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আজ ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার,সকাল ১০টা ৩০মিনিটে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দলের নেতা কর্মীরা জাতীয় প্রেসকাবের সামনে উপস্থিত হতে থাকলে পুলিশ তাদেরকে হয়রানি ও ধাওয়া করে একপর্যায়ে মাওলানা সালমান ও হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদ নামে দুই কর্মীকে টানা হেচড়া করে গ্রেফতার করে। পুলিশ মারমুখি হয়ে খেলাফত আন্দোলনের নেতা কর্মিদের প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নিতে দেয়নি।
এদিকে শান্তিপুর্ন কর্মসুচীতে কর্মিদের হয়রানি ও গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেল ৪টায় কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, মানব বন্ধন কর্মসৃচীতে বাঁধা দিয়ে সরকার বিজিপি নেতার বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভুখন্ড দখলের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এই সরকার ভারতের তাবেদার সরকার। এই সরকারের দ্বারা দেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম রা হবেনা। এদেশে একজন দেশ প্রেমিক থাকতে দেশের এক ইঞ্চি মাটি কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না।
এদিকে শান্তিপুর্ন কর্মসুচীতে কর্মিদের হয়রানি ও গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেল ৪টায় কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় এক জরুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, মানব বন্ধন কর্মসৃচীতে বাঁধা দিয়ে সরকার বিজিপি নেতার বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভুখন্ড দখলের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এই সরকার ভারতের তাবেদার সরকার। এই সরকারের দ্বারা দেশের স্বাধীনতা ও ইসলাম রা হবেনা। এদেশে একজন দেশ প্রেমিক থাকতে দেশের এক ইঞ্চি মাটি কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান ও সহকারী মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আবুজাফর কাসেমী, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ আবুল কাসেম ও মাওলানা মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান মানব বন্ধনে বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন ভারত প্রীতি ছেড়ে দিয়ে দেশ প্রেমিক হোন। তাহলে দেশের জনগনের ভালবাসা পাবেন। তিনি বলেন, বিজিপি নেতার কথা শুনে মনে হয় কোন দিন যেন কোন যুক্তি দেখিয়ে সমগ্র বাংলাদেশকে ভারতের বলে দাবি করে বসেন। আপনারা ১৯৭১ সালে আপনাদের সার্র্থে সাহায্য করেছিলেন, যা এখন ভোগ করছেন। আমাদের নদী মাতৃক দেশকে আপনারা মরুভুমি বানিয়েছেন । ন্যায্য পানির দাবি যা এখন পর্যন্ত পূরণ করতে পারি নাই । প্রতিনিয়ত সিমান্তে আমাদের কোন না কোন মায়েরে বুক খালি করছেন। কাটাতারে ফ্যালানীর লাশ জুলতে দেখে মনে হয় আমাদের প্রানের চেয়ে আপনাদের বুলেটের দাম বেশি।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র ও চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা ও উসকানিদাতাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। অন্যথায় অবিভক্ত বাংলার বাকি অংশ মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরা, মালদহ ও আসামকে উদ্ধারে বাংলাদেশের জনগণ আবার ৭১ এর মত গর্জে উঠবে।
Thursday, February 20, 2014
কুরআন-হাদীসের বাণী প্রচারে মাতৃভাষার বিকল্প নেই : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, মাতৃভাষা আল্লাহ তা’আলার বড় দান। মানুষ মাতৃভাষার মাধ্যমে সুখ-দু:খ ও মনের ভাব প্রকাশ করতে যে আনন্দ পায় অন্য কোন ভাষার দ্বারা তা পায় না। জ্ঞানার্জনের প্রধান মাধ্যম মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় মুর্খ হয়ে বেঁচে থাকার কোন স্বার্থকতা নেই। কুরআন-হাদীসের বাণী জনসম্মুখে সহজভাবে প্রচার করতে মাতৃভাষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, “একটি বেদনাদায়ক সংগ্রাম করে ৪ টি তাজা প্রাণ দিয়ে এবং বহু ত্যাগের মাধ্যমে বাংলা ভাষা আজ রাষ্ট্র ভাষা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বাংলা ভাষ। বাংলা ভাষার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে আদালতসহ রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে বাংলা ভাষার প্রচলণ কার্যকর করতে হবে। ২১ ফেব্রুয়ারীর পরিবর্তে ৯ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এবং বিদেশী ভাষার সব সাইনবোর্ড ভেঙে দিতে হবে।”
আজ বৃহস্পতিবার খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে নবাবপুরস্থ দলের মহানগর মিলানায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর উপদেষ্টা আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী, ইসলামি বুদ্ধিজীবি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও খেলাফত উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়র আব্দুল হান্নান আল হাদী, আলহাজ মুহাম্মদ আজম খান, মহানগর সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, এ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ লিটন চৌধুরী, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, হাফেজ ইবরাহিম বিন আলী মাওলানা জাফর আহমাদ ও মুফতী জয়নাল আবেদন প্রমূখ।
আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, “ভাষা দিবসসের পুষ্পস্তবক অর্পনে কোন ফায়দা নেই। এতে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা সবাই মুসলমান। শহীদের মর্যাদা অতি উঁচু। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য ইসলামী আদর্শ ও মুসলিম সাংস্কৃতিতে করতে হবে।”
মোহাম্মদ আজম খান বলেন, “ভাংলাভাষা ও দেশের স্বকীয়থা বুঝাতে ভাষা দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো বাংলা মাসের তারিখে পালন করতে হবে। সরকারী ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম যে গুলো ইংরেজী অথবা অর্ধেক বাংলা ও অর্ধেক ইংরেজী সেই গুলো বর্জন করতে হবে। জনগণ এখন বাংলাকে বিশ্ব ভাষা হিসেবে দেখতে চায়।”
ইঞ্জিনিয়র হাদী বলেন, “বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে আজ আমাদের দেশেই অবহেলিত এবং ভিনদেশী ভাষার জয় জয়কার চলছে। বর্তমানে যারা বাংলা ভাষার রক্ষক বলে দাবি করে তারাও অফিসে নিজ স্বাক্ষর গুলো পর্যন্ত ইংরেজীতে দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। বিদেশী ভাষা আগ্রাসনের কবল থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”
![]() |
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল |
তিনি বলেন, “একটি বেদনাদায়ক সংগ্রাম করে ৪ টি তাজা প্রাণ দিয়ে এবং বহু ত্যাগের মাধ্যমে বাংলা ভাষা আজ রাষ্ট্র ভাষা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বাংলা ভাষ। বাংলা ভাষার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে আদালতসহ রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ে বাংলা ভাষার প্রচলণ কার্যকর করতে হবে। ২১ ফেব্রুয়ারীর পরিবর্তে ৯ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এবং বিদেশী ভাষার সব সাইনবোর্ড ভেঙে দিতে হবে।”
আজ বৃহস্পতিবার খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে নবাবপুরস্থ দলের মহানগর মিলানায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর উপদেষ্টা আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী, ইসলামি বুদ্ধিজীবি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও খেলাফত উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়র আব্দুল হান্নান আল হাদী, আলহাজ মুহাম্মদ আজম খান, মহানগর সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, এ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ লিটন চৌধুরী, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, হাফেজ ইবরাহিম বিন আলী মাওলানা জাফর আহমাদ ও মুফতী জয়নাল আবেদন প্রমূখ।
আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, “ভাষা দিবসসের পুষ্পস্তবক অর্পনে কোন ফায়দা নেই। এতে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা সবাই মুসলমান। শহীদের মর্যাদা অতি উঁচু। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য ইসলামী আদর্শ ও মুসলিম সাংস্কৃতিতে করতে হবে।”
মোহাম্মদ আজম খান বলেন, “ভাংলাভাষা ও দেশের স্বকীয়থা বুঝাতে ভাষা দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো বাংলা মাসের তারিখে পালন করতে হবে। সরকারী ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম যে গুলো ইংরেজী অথবা অর্ধেক বাংলা ও অর্ধেক ইংরেজী সেই গুলো বর্জন করতে হবে। জনগণ এখন বাংলাকে বিশ্ব ভাষা হিসেবে দেখতে চায়।”
ইঞ্জিনিয়র হাদী বলেন, “বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে আজ আমাদের দেশেই অবহেলিত এবং ভিনদেশী ভাষার জয় জয়কার চলছে। বর্তমানে যারা বাংলা ভাষার রক্ষক বলে দাবি করে তারাও অফিসে নিজ স্বাক্ষর গুলো পর্যন্ত ইংরেজীতে দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। বিদেশী ভাষা আগ্রাসনের কবল থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”
Subscribe to:
Posts (Atom)